হায়েযের নির্দিষ্ট দিন-তারিখ
প্রশ্ন : নিফাসের মুদ্দতের পর দ্বিতীয় রমাজানে ইফতারের সময় প্রথম হায়েয শুরু হয়ে ৯ দিন থাকে, অর্থাৎ ১১ রমাজান হতে পাক হয়ে যায় এবং শাওয়াল মাসের আনুমানিক ৯-১০ তারিখে আবার হায়েয শুরু হয়ে সাত-আট দিন থাকে। তারপর ১৬-১৭ তারিখ হতে ১৯-২০ তারিখ পর্যন্ত পাক থাকার পর মাটি রঙের কফের মতো দু-একবার দেখা যায়। এরপর ২৩-২৪ দিন পাক থাকার পর ১৬ জিলকদ হায়েয শুরু হয়ে ৭-৮ দিন রক্ত জারি থাকার পর বন্ধ হয়ে যায়। ৫-৬ দিন সাদা থেকে সামান্য জমাট বাঁধা গোলাপি বা মাটি রঙের কফের মতো বের হয়, আর এটা দিনে দু-একবার করে ২ দিন দেখা যায়। তারপর ১২-১৩ দিন পাক থাকে তারপর স্বাভাবিকভাবে রক্তস্রাব শুরু হয়ে ৭-৮ দিন জারি থাকার পর ৪-৬ দিন পাক থাকে। এরপর আবার পূর্বের ন্যায় কফের মতো দেখা যায়, এভাবে কয়েক বছর যাবৎ চলতে থাকে। অবশ্য বছরে কোনো কোনো মাসে এমন হয় যে ১৬-১৭ দিন পাক থাকে তবে কখনো পাশাপাশি ২ মাস এমন হয় না। আবার পূর্বের ন্যায় অনিয়মে চলতে থাকে। এক মুফতী সাহেব বলেছেন যে প্রতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে ৯ দিন হায়েয গণনা করতে হবে এবং বাকি দিনগুলো ইস্তেহাজা ধরতে হবে। অনিয়মের ভেতরে কোনো সময় ১৫ দিন বা তার অধিক পবিত্র থাকলে ওই পবিত্রতা ধর্তব্য নয়। কমপক্ষে পাশাপশি ২ মাস যদি দুই রক্ত জারির মাঝে কমপক্ষে ১৫ দিন পাক থাকে, তবে পূর্বের অভ্যাস বাদ যাবে।
অন্য এক মুফতী বলেন, জিলকদ মাসের ১৫ তারিখ হতে প্রথম ৯ দিন হায়েয ধরতে হবে। সমস্ত বছর এভাবে গণনা করে নামায-রোজা আদায় করতে হবে। উপরোক্ত সমস্যার সঠিক সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর : শরীয়তে মহিলাদের রক্তস্রাবের ওপর শরয়ী আহকাম জারি হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নে তিন দিন আর ঊর্ধ্বে ১০ দিন হতে হয়। আর এটিই তার শরয়ী সীমারেখা। সুতরাং উল্লিখিত দুই সংখ্যার প্রথমটির কম হলে কিংবা দ্বিতীয়টির বেশি হলে তখন তা শরীয়তে হায়েয হিসাবে পরিগণিত হয় না বরং ইস্তেহাজা হিসেবে ধর্তব্য হয়। আর দুই হায়েযের মাঝখানে ১৫ দিন পবিত্র থাকা আবশ্যক। আর কোনো মেয়েলোকের যদি হায়েযের নির্দিষ্ট আদত তথা অভ্যাস থাকে, আর সে কোনো মাসে অভ্যাসের বিপরীত ১০ দিনের পরও রক্ত দেখতে পায়, তাহলে আদতের ভেতরে আসা রক্তকে হায়েয ধরতে হবে এবং অতিরিক্তগুলোকে ইস্তেহাজা।
অনুরূপ কোনো মেয়েলোকের যদি এক হায়েয শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের আগেই আবার রক্ত দেখা দেয়। আর এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে, তাহলে তার এই অনিয়ম চালু হওয়ার পূর্বের হায়েযের আদত নির্ধারণ করে ঠিক তার ১৫ দিন পরই দ্বিতীয় হায়েযের সময় শুরু হবে, মাঝে আসা রক্তকে ইস্তেহাজা ধরতে হবে। সুতরাং প্রশ্নোল্লিখিত মহিলার জন্যও উপরোক্ত নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
আর প্রশ্নে বর্ণিত ২ রমাজান থেকে থেকে ১১ রমাজান পর্যন্ত আসা রক্তকে ইস্তেহাজা ধরতে হবে। যদি নিফাসের ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরপরই এসে থাকে। কেননা নেফাস বন্ধ হওয়ার পর হায়েয শুরু হওয়ার আগে ১৫ দিন পবিত্র থাকা আবশ্যক। (১৬/৭৫৪/৬৭৫৬)
Tag:হায়েযের