হাদীস-তাফসীরের বাংলা অনুবাদ
প্রশ্ন : হাদীসের কিতাব তথা বুখারী, মুসলিম ইত্যাদি এবং কোরআনের তাফসীরের আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার দ্বারা ইসলামী জ্ঞানশূন্য বাংলা-ইংরেজি শিক্ষিত লোকদের জন্য ইসলামী জ্ঞান অর্জন করার সহজ একটি ব্যবস্থা হয়। যেহেতু তারা আরবী-উর্দু ভাষা বুঝতে সক্ষম নয়। হাদীসের কিতাব বা তাফসীরের যেকোনো কিতাব বাংলায় অনুবাদ হলে সাধারণ লোকদের জন্য তা পাঠ করা বৈধ হবে কি না?
প্রশ্নের কারণ হলো, এক ইংরেজি শিক্ষিত লোক বাংলায় কোরআনের অনুবাদ পড়ার পর ইসলামের সমালোচনা করে যে মৌলভীদের মধ্যে এত মতভেদ কেন? দলিলস্বরূপ কোরআনের আয়াত صلوا علیه وسلموا تسلیما দ্বারা মিলাদ-কিয়াম বৈধ বলে দাবি করে। কেননা صلوا দ্বারা কিয়াম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরেক ইংরেজি শিক্ষিত বাংলা ইতিহাস পড়ে ঈদে মীলাদুন্নবী বৈধ হওয়ার দাবি করে।
উত্তর : প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কোরআন-হাদীসের তত্ত্ব জ্ঞান, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ইত্যাদি শিক্ষা করা প্রয়োজন। তাই হক্কানী উলামায়ে কেরামের লিখিত গ্রহণযোগ্য তাফসীর বা হাদীসের যেকোনো ব্যাখ্যাগ্রন্থ বিজ্ঞ আলেমের তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অধ্যয়ন করা অত্যাবশ্যক। তবে ব্যাখ্যা সাপেক্ষ আয়াত হাদীস বা মাসআলা-মাসায়েলের ক্ষেত্রে গবেষণা ও পর্যালোচনা করা কোরআন-সুন্নাহর অভিজ্ঞ উলামাদের একমাত্র অধিকার অন্য কারো নয়। তাই যেকোনো সাধারণ লোকদের জন্য কোরআন-হাদীসের শাব্দিক অর্থ বা তাফসীর দেখে মাসআলা বের করার চেষ্টা করা চরম বোকামি ও ভ্রান্ত পথ অবলম্বন ছাড়া কিছুই নয়। তা ছাড়া صلوا শব্দের ব্যাখ্যা কোনো কিতাবে ও অভিধানে কিয়াম দ্বারা করা হয়নি। এ ধরনের ভিত্তিহীন মনগড়া কথা আলোচনাযোগ্য নয়। এটি কোরআন-হাদীসের অপব্যাখ্যা। (১৪/৭৩)