সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার ফজীলত ও নিয়ম
প্রশ্ন : সূরায়ে হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার ফজীলত এবং নিয়ম কী? নামাযের পর শুধুমাত্র ইমাম সাহেব পড়বেন আর বাকিরা শুনবে, নাকি প্রত্যেকেই নিজে নিজে পড়বে? বিষয়গুলো বিস্তারিত জানালে চির কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর : সূরায়ে হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজীলত সম্পর্কে তিরমিযী শরীফের হাদীসে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত “যে ব্যক্তি উক্ত আয়াতসমূহ নিয়মানুযায়ী সকালে পাঠ করবে ৭০ হাজার ফেরেশতা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমত বা মাগফিরাতের দু’আ করতে থাকবে এবং যদি ওই ব্যক্তি সেদিন মারা যায় তাহলে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে, সন্ধ্যায় পাঠ করলেও অনুরূপ ফজীলত পাওয়া যাবে।” অন্য হাদীসে আছে, “আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেবেন।” হাদীসের বর্ণনা মতে, উক্ত আয়াতসমূহ পড়ার নিয়ম, সকাল-সন্ধ্যায়اعوذ بالله السمیع العلیم من الشیطان الرجیم তিনবার পড়ে উক্ত আয়াতগুলো পাঠ করবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী উক্ত আয়াতসমূহ ব্যক্তিগতভাবে একাকী তেলাওয়াত করলে উল্লিখিত ফজীলতের অধিকারী হবে। নামাযের পর ইমাম সাহেব মুক্তাদীদেরকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে পড়তে হবে এর কোনো প্রমাণ কিতাবে পাওয়া যায় না। তবে মুসল্লিদেরকে শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে সাময়িক তাদের মুখস্থ হওয়া পর্যন্ত ইমাম সাহেব উচ্চস্বরে পড়তে পারবেন। (৬/৯১৬/১৫১০)
তিরমিজি, হাদিস : 2922, আল জামিউ লি আহকামিল কুরআন : 18/49, আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহ : 1/823