সাহরীর শেষ ও ফজরের শুরু সময়ের মধ্যে ব্যবধান
প্রশ্ন : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত নামায ও সাহরী ইফতারের চিরস্থায়ী সময়সূচির ক্যালেন্ডারে সাহরীর শেষ সময় ও ফজর শুরুর সময় আলাদা কলামে লেখা হয়েছে, যাতে সময়ের ব্যবধান পাঁচ মিনিট। অথচ প্রকৃতপক্ষে সাহরীর শেষ সময় ও ফজরের শুরু সময় আলাদা নয়। উক্ত পদ্ধতি অবলম্বনের কারণ কী?
হযরত আবরারুল হক (রহ.)-এর একজন খলীফা, যিনি ঢাকার একজন অতি পরিচিত মুফতী তিনি এ ব্যাপারে বলেছেন যে আগের প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে সাহরীর শেষ ও ফজরের শুরু একই সময় উল্লেখ আছে। যাতে সতর্কতামূলক ফজর শুরু হওয়ার চার-পাঁচ মিনিট পূর্বের সময় লেখা, অর্থাৎ এ সময় ফজর শুরু হয়নি। তবে রোজার হেফাজতের জন্য সতর্কতা হিসেবে এ সময় কিছু খাওয়া যাবে না। কিন্তু এ সময় আযান দিয়ে দিলে তা ওয়াক্ত শুরুর আগে হবে। ফলে আযান বরবাদ হয়ে যাবে এবং এই আযানের সাথে সাথে ঘরে কোনো মহিলা নামায শুরু করে দিলে সেই নামাযও ওয়াক্তের আগে হওয়ার কারণে বরবাদ হবে। তিনি আরো বলেন, আযান না হওয়ার জন্য ও এই মহিলাদের নামায বরবাদ হওয়ার জন্য মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ভাই গোনাহগার হবেন। মুফতী সাহেবের কথা কতটুকু সঠিক? এ ক্ষেত্রে সাধারণ মুসল্লিদের করণীয় কী?
উত্তর : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত সময়সূচিতে সতর্কতামূলক সাহরীর শেষ ও ফজর শুরুর সময় আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশ্নে উল্লিখিত মুফতী সাহেবের বক্তব্য সঠিক। তাই মুসল্লিদের জন্য উক্ত সময়সূচিতে প্রদত্ত সময়ের অনুসরণ করে চলা জরুরি। (১২/১৪২/৩৮৫০)