সরকারি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা
প্রশ্ন : দ্বীনি ইলম তথা কোরআন-হাদীসকে পার্থিব উদ্দেশ্যে শিক্ষা করা বৈধ কি না? যদি বৈধ না হয়ে থাকে তাহলে বর্তমান সরকারি মাদ্রাসাগুলোতে যে কোরআন-হাদীস শিক্ষা দেওয়া হয় তার উদ্দেশ্য হলো দুনিয়া এবং সার্টিফিকেট। প্রশ্ন হলো, যখন কোরআন ও হাদীসের শিক্ষাকে মূল হিসেবে রাখা হয় না বরং অন্য বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে বর্তমান সরকারি মাদ্রাসাগুলোকে মাদ্রাসা বলা জায়েয হবে কি না? তারা তো বলে থাকে যে সরকারি মাদ্রাসায় পড়ার দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাত উভয়টা পাওয়া যায়। উল্লিখিত প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হব।
উত্তর : পার্থিব উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা যেমন বৈধ নয়, তেমনিভাবে জাগতিক শিক্ষা গ্রহণ শরীয়তের দৃষ্টিতেও অবৈধ নয়। বরং মুসলমানের জন্য দুই শর্তে সব ধরনের জাগতিক শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চা বৈধ, বরং সাওয়াবের কারণ। ১. মুসলমানিত্ব পূর্ণ রূপে রক্ষা করে চলা। ২. এবং জাগতিক শিক্ষার দ্বারা মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের মুখাপেক্ষী থেকে রক্ষা করা। সুতরাং উপরোক্ত উদ্দেশ্য বিদ্যমান থাকলে সরকারি মাদ্রাসা বরং স্কুল-কলেজে পড়াও বৈধ হবে। তবে সরকারি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে উপরোক্ত শর্তাবলি বজায় রাখতে হলে সঠিক নিয়্যাত এবং হক্কানী উলামা-মাশায়েখের সংস্পর্শ একান্ত প্রয়োজন। (১৩/১০১৮/৫৪৯৮)