রুকুর চিেহ্নর প্রবর্তক, উদ্দেশ্য এবং সূরা ওয়াকিআ’র রুকুর রহস্য
প্রশ্ন :
إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً۞ فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا۞ عُرُبًا أَتْرَابًا۞ لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ۞؏ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ۞ وَثُلَّةٌ مِنَ الْآخِرِينَ ۞
উল্লিখিত আয়াতগুলো সূরা ওয়াকি’আর, এখানেلاصحاب الیمین এর পর রুকুর চিহ্ন (؏) রয়েছে। কোরআন শরীফে এভাবেই লেখা আছে। প্রশ্ন হলো, এখানে রুকুর চিহ্ন কেন দেওয়া হলো? অথচ নিয়ম অনুযায়ী আরো দুই আয়াত পরে দেওয়ার কথা। নাউজুবিল্লাহ এতে (আল্লাহ পাকের ওয়াদাকৃত) কোরআন শরীফ হেফাজতের ওপর কোনো প্রভাব পড়তে পারে কি না? তা ছাড়া রুকুর চিহ্নের আসল উদ্দেশ্য কী এবং কখন, কে রুকুর চিহ্ন প্রবর্তন করেছিলেন?
উত্তর : কোরআন শরীফ দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং খতমে তারাবীহতে কী পরিমাণ পড়লে সহজে খতম করা যায়, এ দৃষ্টিকোণ থেকে ৫৪০ রুকু, সাত মঞ্জিল ইত্যাদি পন্থায় ত্রিশ পারা কোরআনকে ভাগ করা হয়েছে। বিশেষ করে রুকু নির্ধারণে দুটি দিক লক্ষ করা হয়েছে। এক. আয়াতের সমপরিমাণ সংখ্যা, দুই. অর্থের দিক দিয়ে কোনো বিষয়ের পরিপূর্ণতা। এ হিসেবে সূরা ওয়াকি’আর প্রথম রুকু لاصحاب الیمین এ শেষ হওয়ার অবকাশ আছে। যেমন বর্তমান প্রিন্টিংয়ে চিহ্ন দেওয়া আছে। তেমনিভাবে ثلة من الآخرین এ শেষ হওয়ারও অবকাশ আছে। তাই আপনি তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে যেকোনো পন্থা অবলম্বন করতে পারেন, শরীয়তে কোনো বাধা নাই। কোরআন শরীফে রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে রুকুর চিহ্ন লাগানোর জোরালো কোনো প্রমাণ না থাকলেও পরবর্তী যুগে অভিজ্ঞ ইমামগণ তেলাওয়াতের সুবিধার্থে চিহ্ন লাগিয়েছেন। বিশেষ করে তারাবীহের বিশ রাক’আত নামাযে ২৭ তারিখের তারাবীহতে কোরআন খতম করতে হলে পুরো ত্রিশ পারা কোরআনকে ৫৪০টি রুকুতে ভাগ করে প্রতি রাক’আতে এক রুকু পরিমাণ পড়া হলে তা সহজে সম্ভব হয়। এ বিবেচনায় তা করেছেন বলেও কিতাবে পাওয়া যায়। (১৫/২১৬/৬০০১)
المبسوط للسرخسی(دار المعرفة) ۲ /۱٤٦ : وحكى عن القاضي الإمام عماد الدين – رحمه الله تعالى – أن مشايخ بخارى جعلوا القرآن خمسمائة وأربعين ركوعا وعلموا الختم بها ليقع الختم في الليلة السابعة والعشرين رجاء أن ينالوا فضيلة ليلة القدر إذ الأخبار قد كثرت بأنها ليلة السابع والعشرين من رمضان وفي غير هذه البلدة المصاحف معلمة بالآيات، وإنما سموه ركوعا على تقدير أنها تقرأ في كل ركعة.
فتاوی قاضیخان مع الھندیة(مکتبة زکریا( ۱ /۲۳۹ : وحكى عن المشايخ رحمھم الله تعالی أنھم جعلوا القرآن علی خمسمائة وأربعين ركوعا وأعلموا ذلك فی المصاحف حتی یحصل الختم فی لیلة السابع والعشرین لکثرة الاخبار التی تدل علی انھا لیلة القدر وفی غیر ھذا البلد کانت المصاحف معلمةبعشر من الآیات وجعلوا ذلك رکوعا لیقرأ فی کل رکعة من التراویح القدر المسنون .
احسن الفتاوی (ایچ ایم سعید) ۱ /۴۹۰ : رکوع اور پاروں کا ثبوت حضور کریم صلی اللہ علیہ وسلم سے نہیں ملتا ، مشایخ بخارانے قرآن کریم میں پانچسو چالیس رکوع لگائے تاکہ تراویح میں ہر رکعت میں ایک رکوع میں ایک رکوع پڑھاجائے تو ستائیس رمضان تک ایک ختم ہوجائے ۔