রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বোঝানো হয়- এমন গুণবাচক শব্দের উচ্চারণে দরূদ পাঠ করা
প্রশ্ন : ১. আমরা জানি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ওপর দরূদ শরীফ পড়তে হয়। তো এ হুকুমটা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আসল নামের সাথেই প্রযোজ্য, নাকি তাঁর অন্যান্য গুণবাচক নামের সাথেও সমানভাবে প্রযোজ্য? যেমন অনেক আলেমকে বলতে শোনা যায়, নবী আলাইহিস্ সালাম। এখানে নবী শব্দটা রাসূল (সা.)-এর একটি গুণবাচক নাম।
২. আমাদের এক হুজুর বুখারী শরীফের দরসের মধ্যে বলেছিলেন ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’ তথা রাসূল (সা.)-কে সম্বোধন করে ডাকলে বা কিতাবের মতন পড়ার সময় সম্বোধনকৃত ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’ পড়লে দরূদ শরীফ তথা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলা জরুরি নয়। এটা কি আসলে এমনই?
৩. কালেমা তাইয়্যিবা পড়ার পর যেহেতু এখানে রাসূল (সা.)-এর নাম রয়েছে, তাই অনেকে দরূদ শরীফ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শোনা যায়, আর অনেকে পড়ে না। আর কেউ কেউ একাধিকবার কালেমা তাইয়্যিবা পড়ার সময় একবার দরূদ শরীফ সহকারে পড়ে থাকে। এ ব্যাপারে শরীয়তের বাস্তব নির্দেশনা কী?
উত্তর : ১. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আলোচনা হলে দরূদ পড়ার কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে। ফুক্বাহা ও মুহাদ্দিসীনে কিরাম নবী করীম (সা.)-এর আসল বা গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে কোনো পার্থক্য বর্ণনা করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ধরনের নাম উচ্চারণ করলে কিংবা অন্যকে উচ্চারণ করতে শুনলে দরূদ পড়া ওয়াজিব হবে। (১৭/৫৩/৬৯২০)
২. রওজা মুবারকে হাজির হওয়া ব্যতীত অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’ বলে সম্বোধন করার অনুমতি নেই। হাদীসের মতন পড়ার সময় সম্বোধনকৃত ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’ পড়ার পর দরূদ শরীফ পড়া প্রমাণিত নয়।
৩. কালেমায়ে তাইয়্যিবায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নাম মুবারক থাকায় তা পড়ার পর দরূদ শরীফ পড়া উচিত। একই মজলিসে একাধিকবার রাসূল (সা.)-এর নাম মুবারক উচ্চারিত হলে এ ক্ষেত্রে একবার দরূদ শরীফ পড়া ওয়াজিব, পরবর্তীতে যতবার নাম মুবারক উচ্চারিত হবে, ততবার দরূদ শরীফ পড়া মুস্তাহাব।
Tag:দরূদ