যাকাতের খাত সমূহ, যাকাতের টাকায় কাউকে তাবলীগে পাঠানো
প্রশ্ন : যাকাতের টাকা ব্যয়ের খাত কয়টি ও কি কি? দ্বীনি দাওয়াতের কাজে যারা বের হন তারা কি যাকাতের খাতের অন্তর্ভুক্ত? হলে কোন খাতে? বিস্তারিত দলিলসহ জানালে ভালো হবে। কেউ যদি গরীব ব্যক্তিকে তার যাকাতের টাকা দিয়ে তাবলীগে পাঠায় তাহলে কি তার যাকাত আদায় হবে? এবং সে কি দাওয়াতের কাজের সাওয়াব ও আল্লাহর রাস্তার এক টাকায় সাত লাখ টাকা খরচের সওয়াবের অংশীদার হবে? বিস্তারিত জানালে খুশি হবো।
উত্তর : আল্লাহ তাআলা যাকাতের ব্যয়ের খাত সমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন যে যাকাতের অর্থ ব্যয়ের খাত মোট আটটি :
১. ফকির, যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই।
২. মিসকীন, যাদের কোনো সম্পদ নেই।
৩. যারা ইসলামী রাষ্ট্রের সরকারকর্তৃক যাকাত সদকা ওশর ইত্যাদি উসুল করার কাজে নিয়োজিত।
৪. ইসলামের দিকে ধাবিত করার জন্য যাকাত প্রদান । তবে এ খাতটি বর্তমান যামানায় প্রযোজ্য নয়।
৫. নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ দাস-দাসী।
৬. পর্যাপ্ত পরিমাণ মাল না থাকার দরূন ঋণ পরিশোধে অক্ষম ঋণী ব্যক্তি।
৭. মুজাহিদগণ, যারা যুদ্ধের অস্ত্র যোগাতে অক্ষম অথবা টাকার কারণে হজের কাজ পূর্ণ করতে অক্ষম বা ইলম হাসিল ও দ্বীনি দাওয়াতের কাজে নিয়োজিত গরীব ব্যক্তিরা।
৮. সফর অবস্থায় অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিগণ।
কোনো ধণী ব্যক্তি যদি তার যাকাতের টাকা দিয়ে কোনো গরীব ব্যক্তিকে ইলম হাসেল ও তাবলীগ ইত্যাদি দ্বীনি কাজে পাঠায় তাহলে তার যাকাত আদায় হয়ে যাবে, বরং সে দ্বিগুণ সাওয়াবের অধিকারী হবে।
উল্লেখ্য, এসব খাতগুলোর মধ্যে যাকাত ইত্যাদি উসুলে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া সব ধরণের লোক গরীব হওয়ার কারণেই যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত। আর গরীবকে শর্তহীনভাবে যাকাতের অর্থ প্রদান জরুরী এবং সম্পূর্ণ মালিক বানিয়ে দেয়া যাকাত আদায় হওয়ার পূর্বশর্ত। অতএব কাউকে কোনো কাজের জন্য যাকাতের টাকা দিয়ে বাধ্য করা উচিত নয়। বরং শর্ত করাও শরীয়তসম্মত নয়। (১৫/৬৩৮/৬১৫৭)