মেয়েদের কোরআনে হাফেজা হওয়ার প্রয়োজন কতটুকু
প্রশ্ন : আমি একজন সাধারণ শিক্ষিত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যম শ্রেণীর কর্মচারী। আমার একমাত্র কন্যাকে মহিলা মাদ্রাসায় পড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে আপনার সদয় মতামত ও পরামর্শের জন্য নিম্ন বর্ণিত তথ্যাদি পেশ করলাম।
১. মেয়ের বয়স ১১ বছর, ২. বর্তমানে বেসরকারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এবং স্থানীয় মক্তবে পড়াশোনা করে, ৩. মেয়ে মাদ্রাসায় হেফজখানায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক, ৪. নিজে এবং মেয়ের মা হেফজখানায় পড়াতে ইচ্ছুক, ৫. আমার নিজের এবং স্ত্রীর আরবী পড়াশোনা নেই বললেই চলে। তবে আলেমের নিকট গিয়ে কোরআন শরীফ শুদ্ধভাবে তেলাওয়াতের ফিকিরে আছি, ৬. বর্তমানে অবস্থানরত জায়গা থেকে দেড় মাইল দূরে একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে, ৭. আর্থিক অসুবিধা নেই। সদয় মতামত ও পরামর্শ দিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর : দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা প্রক্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। তবে পুরুষ অপেক্ষা নারীর জীবনযাত্রা, দায়িত্ব ও কর্মস্থল সীমাবদ্ধ। তাই নারীর জন্য মূলত আকাঈদ, নামায, রোযা, পবিত্রতা ইত্যাদি এবং সাংসারিক জীবন সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মাসআলা শিক্ষা করাই যথেষ্ট। মেয়েরা বালেগা হওয়ার পূর্বে জরুরি ইলম শিক্ষা নেওয়ার যথেষ্ট সময় রয়েছে। তাই বালেগা হওয়ার পূর্বেই তাদের প্রয়োজনীয় দ্বীনি ইলম শিক্ষা নেওয়া জরুরি। কোনো কারণবশত বালেগা হওয়ার পূর্বে জরুরি ইলম শিক্ষা নিতে না পারলে মাহরাম ব্যক্তি আলেমদের নিকট হতে শিখে মেয়েদেরকে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। অথবা ছোট ছেলে রেখে শিক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তা ছাড়া কোনো বালেগা মেয়ে বা তার কাছাকাছি বয়সের মেয়েদেরকে মাদ্রাসায় বা কোনো শিক্ষালয়ে ভর্তি করা বা পাঠানোর অনুমতি নেই। কোরআন পাক হেফজ করা মুস্তাহাব, যা জরুরি শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয়। অতএব এ উদ্দেশ্যে এই বয়সের মেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠানোর প্রশ্নই ওঠে না। আপনার ধর্মীয় অনুপ্রেরণা ও ইলমের মহব্বতের প্রতি মুবারকবাদ। (৪/৩৪০)