মিলাদ-কিয়ামে শরীক না হলে কাউকে নবীর দুশমন বলে গালি দেওয়া
প্রশ্ন : কিয়াম কাকে বলে? হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে হাজির-নাজির বলে ধারণা করা, অনুষ্ঠানে মিলাদ শেষে তবারক বিতরণ করা, প্রচলিত মিলাদ কিয়ামের মাহফিল আয়োজন করাকে বিশাল সাওয়াবের ও বরকতের কাজ মনে করা এবং মিলাদ ও কিয়ামের মাহফিলে যারা অংশগ্রহণ করে না তাদেরকে নবীর দুশমন, ওয়াহাবী এবং মোনাফেক ইত্যাদি বলে গালি দেওয়া শরীয়তসম্মত কি না?
উত্তর: প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়গুলো শরীয়তে প্রমাণিত নয়। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর চার খলীফা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত উমর (রা.), হযরত উসমান (রা.), হযরত আলী (রা.) এবং চার মাযহাবের ইমাম যথা ইমাম আবু হানীফা (রহ.), শাফেয়ী (রহ.), মালেক (রহ.), আহমদ (রহ.) ও চার তরীকার ওলীগণ হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.), খাজা আজমেরী (রহ.), খাজা সহরওয়ারদী (রহ.), খাজা নকশবন্দী (রহ.) এগুলো করেননি। বর্তমানে যারা করে তারা হক্বপন্থী নয়। আর যারা করে না তাদেরকে গালি দেওয়ার অর্থ হলো উপরোল্লিখিত মনীষীগণকে গালি দেওয়া। এখন ভেবে দেখতে হবে, গালিদাতা কাকে গালি দিচ্ছে। উক্ত ওলী-বুজুর্গদের গালি দিয়ে কবরে কিভাবে যাবে। (৭/৮৪৩/১৮৯৯)