মিলাদের উৎপত্তি ও বিধান এবং ‘শরীফ’ শব্দের প্রয়োগক্ষেত্র
প্রশ্ন : ‘মিলাদ’ শব্দটির উৎপত্তি কী? মিলাদ পড়লে কোনো গোনাহ হবে কি না? হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিংবা কোনো সাহাবী অথবা কোনো আল্লাহর ওলী কি মিলাদ পড়েছেন বা পড়ার হুকুম দিয়েছেন? মিলাদে কিয়াম করার হুকুম কী? স্বাভাবিক দৃষ্টিতে মিলাদে কোনো ভুল দেখা যায় না, যারা পড়ে তারা দরূদ শরীফ পড়ে তারপর ইয়া নবী ইত্যাদি পড়ে। ইয়া নবী মিলাদে পড়া কি ঠিক? কোন কোন বস্তুর সাথে ‘শরীফ’ শব্দটির ব্যবহার জায়েয আছে?
উত্তর : রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মহব্বত নিয়ে দরূদ শরীফ ও সালাম পাঠ করা বড় সাওয়াবের কাজ। তবে এর জন্য প্রচলিত পদ্ধতিতে সময় নির্ধারণ করে মজলিস কায়েম করা এবং এতে সবাই একত্রিত হয়ে উচ্চস্বরে সুর মিলিয়ে সালাত ও সালাম পাঠ করার কথা শরীয়তে নেই। ইসলামের স্বর্ণযুগে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বা কোনো সাহাবী, তাবেঈ, ইমাম, মুজতাহিদ এবং পরবর্তীতে কোনো হক্কানী আলেম এ ধরনের আনুষ্ঠানিকতা তথা প্রচলিত মিলাদ নিজেও পড়েননি এবং অন্য কাউকে পড়তেও বলেননি। বরং তা ৬০০ হিজরীর পরে অস্তিত্ব লাভ করে। এ ধরনের কাজ শরীয়তের অংশ মনে করে সাওয়াবের আশায় করলে গোনাহ হবে।
‘মিলাদ’ শব্দের অর্থ জন্ম ও জন্মদিন। ‘ইয়া নবী’র অর্থ হে নবী! মিলাদ কিয়াম করা ইয়া নবী ইত্যাদি পড়া শরীয়তসম্মত নয়। শরীফ শব্দটি ইসলামী নিদর্শন ও সম্মানিত বস্তুসমূহে ব্যবহার হয়ে থাকে। (১০/১১৭/৩০০৪)