মওদুদী ও তাঁর দলের সাথে সম্পৃক্ততা
প্রশ্ন :
ক. আমি ইতিপূর্বে তাবলীগ করতাম, পরবর্তীতে একসময় জামায়াতে ইসলামীর মিটিংয়ে বসি। তাদের কর্মসূচি ভালো লাগায় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হই বা জামায়াতে ইসলামী করি। এতে আমার ঈমান ও আক্বীদার মধ্যে কোনো প্রকার ত্রুটি আসবে কি? অনেকে আমাকে তাওবা করতে বলেন।
খ. জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী ইমামের পেছনে নামায পড়া যাবে কি না?
গ. মওদুদী কি আসলেই ভুল করেছেন? করে থাকলে দু-একটি উদাহরণ দেবেন?
ঘ. মওদুদীও ভুল করেছেন, অন্য ইমামগণও ভুল করেছেন (যেমন জালালাইন শরীফের গ্রন্থকার) তাহলে মওদুদী ও সাহেবে জালালাইনের ভুলের মধ্যে পার্থক্য কী?
ঙ. কোনো ব্যক্তি যদি মওদুদী আক্ব¡ীদার পূর্ণ বিশ্বাসী না হয়ে জামায়াতে ইসলামী করে তাহলে তার ঈমান ও আক্বীদার মধ্যে কোনো অসুবিধা হবে কি?
উত্তর : জনাব, আপনার কথায় ফুটে উঠেছে যে আপনি একজন বিজ্ঞজন, তাই আপনার নজরে ইমামদের ও সাহেবে জালালাইনের ভুল ধরা পড়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় মওদুদী সাহেবের ভুল ধরা পড়ল না। অথচ তাঁর ভুলের সূচিসম্বলিত কয়েক শত বই-পুস্তক প্রকাশ হয়েছে। উপমহাদেশের বরেণ্য আলেম সমাজ তাঁকে পথভ্রষ্ট এবং তাঁর প্রচারিত চিন্তাধারাকে ইসলামের অপব্যাখ্যা বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি মওদুদী অনুসারীদের পেছনে নামায না পড়ার ফতওয়াও দিয়েছেন। যেহেতু জামায়াতের আমির গত ১৯৯১ ইং সালের আগস্ট মাসে ঘোষণা দিয়েছেন যে “মওদুদী সাহেব ও জামায়াতে ইসলামী এক ও অভিন্ন” তাই আপনার পৃথক্করণ কারো নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।
সত্য অন্বেষণকারীর জন্য এতটুকু উত্তরই যথেষ্ট বলে মনে করি। আল্লাহ তা’আলা সকলকে হক্কানী আলেমের অনুসরণের তাওফীক দান করুন। আমীন। (১/২০৩)