বুড়িগঙ্গার পানির বিধান
প্রশ্ন : বুড়িগঙ্গার পানির তিন গুণাবলির সব পরিবর্তন হওয়ার কারণে তার গন্ধ এক কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়া যায়। অনেকে বলে, এই পানি ‘আইনে নাপাক’ হয়ে গেছে। প্রশ্ন হলো, হাজার হাজার মানুষ তাতে ওজু-গোসল করে, তারা কি পবিত্র হবে? নাকি অপবিত্র থেকে যাবে? আর যারা পবিত্র ছিল তারা গোসলের কারণে কি অপবিত্র হয়ে যাবে? যদি অপবিত্র থাকে বা হয়ে যায় তবে বুড়িগঙ্গার যে পানি মেশিনে পরিষ্কার করে সাপ্লাই করা হয় ওই পানি দ্বারা ওজু-গোসল জায়েয হবে কি না?
উত্তর : সাধারণত প্রবাহিত বড় নদীগুলোর পানি নাপাকির সংমিশ্রণের দ্বারা পানির গুণাবলি পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়। তাই নাপাকি পড়লে এসব পানিকে নাপাক বলা হয় না। তবে কোনো অংশের পানি বাস্তবেই যদি নাপাকির সংমিশ্রণে পানির রং, স্বাদ-ঘ্রাণ হতে যেকোনো একটি গুণ পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে শুধু ওই অংশের পানিকে নাপাক বলা হবে, যা মেশিনের দ্বারা পরিষ্কার করলেও পাক বলার অবকাশ থাকবে না। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত বুড়িগঙ্গার পানির যে অংশে অভিজ্ঞ মহল নাপাকির মিশ্রণে তিনটি গুণাবলি হতে যেকোনো একটি গুণ পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে সাব্যস্ত করবেন শুধু সে অংশের পানিকেই নাপাক বলা হবে, অন্য অংশ নয়। (১৪/১১৩)