বিভিন্ন দরূদ ও দু’আর খতম
প্রশ্ন : দয়া করে নি¤েœাল্লিখিত বিষয়ে শরীয়তের দলিল-প্রমাণসহ জানালে উপকৃত হব।
১. দু’আয়ে হাবীবী
২. দরূদে তাজ
৩. দরূদে আকবর
৪. দু’আয়ে গানজুল আরশ
৫. দরূদে লাখী
৬. দরূদে হাজারী
হামিদিয়া লাইব্রেরি, এমদাদিয়া লাইব্রেরি, চকবাজার থেকে প্রকাশিত পাঞ্জসূরা কিতাবে উপরোক্ত দরূদ ও দু’আ পাঠ করলে অসীম নেকী হাসিল হবে বলে লিখিত আছে।
উত্তর : সাওয়াবের আশায় দরূদ অজিফা পড়া ইবাদত। তবে কোরআন-হাদীস কিংবা শরীয়তের নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত হওয়া তার পূর্বশর্ত। প্রশ্নে বর্ণিত পাঞ্জসূরা বইয়ের বরাতে যেসব দু’আ, দরূদ অজিফার বিবরণ রয়েছে এবং এগুলো পড়ার ওপর যে পরিমাণ সাওয়াবের কথা উল্লেখ আছে তা শরীয়তের কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে প্রমাণিত নয়। তাই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীন কর্তৃক প্রমাণিত দু’আ ও দরূদ পড়াই উম্মতের জন্য অধিক কল্যাণকর। তবে শুধু দুনিয়াবী উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে কোনো ধরনের বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়স্বরূপ এগুলো পড়ার জন্য কোনো হক্বপন্থী আলেম-বুজুুর্গ অজিফাস্বরূপ পড়তে দিলে তখন কোনো রকমের সাওয়াব ও ইবাদত বা শরীয়ত কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ার আক্বীদা বিশ্বাস না রাখার শর্তে এবং দু’আগুলোর মর্ম শরীয়তবিরোধী না হলে তা পড়া যায়, অন্যথায় পড়া যাবে না। (১৪/৭৫০/৫৭৫৬)