বিনিময় গ্রহণকারীর পেছনে তারাবীহের বিধান
প্রশ্ন : রমাজান মাসে খতমে তারাবীহ পড়িয়ে কি টাকা দেওয়া নেওয়া জায়েয আছে? যদি জায়েয না হয় তাহলে কি ওই হাফেজ সাহেবের পেছনে তারাবীর নামায পড়া জায়েয হবে? এমতাবস্থায় করণীয় কী? যারা বলে, আমরা তারাবীহের বিনিময় হিসেবে টাকা নেই না বরং হাদিয়া হিসেবে নেই। এর হুকুম কী? প্রশ্নাবলির উত্তর দলিলসহ বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর : রমাজান মাসে তারাবীর নামাযে কোরআন শরীফ খতম করা অধিক সাওয়াবের কাজ, কিন্তু এই খতমের বিনিময়ে টাকা-পয়সা আদান-প্রদান করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। যে হাফেজ সাহেব খতমে তারাবীহ পড়িয়ে টাকা নেন তার পেছনে ইক্তিদা করা মাকরূহ। এমতাবস্থায় খতমে তারাবীহ না পড়ে সূরা তারাবীহ পড়াই উত্তম।
খতমে কোরআনের বিনিময় দেওয়া নেওয়ার নিয়্যাত না থাকাবস্থায় হাদিয়া হিসেবে লেনদেনের অবকাশ থাকলেও বর্তমান সমাজের উরফ তথা প্রচলনে বিনিময় উল্লেখ না করা হলেও বিনিময় হিসেবেই দেওয়া হয়। কেননা খতমের পূর্বে বা খতম করে চলে যাওয়ার পর হাফেজ সাহেবের কোনো খোঁজখবর নেওয়া হয় না। এমনকি যদি হাফেজ সাহেবকে টাকা না দেওয়া হয় তারা ওই মসজিদে দ্বিতীয়বার নামায পড়ানোর জন্য আসে না। সুতরাং খতমে তারাবীহকে কেন্দ্র করে দেওয়া টাকা হাদিয়ার নিয়্যাত করলেও হাদিয়া হবে না। (১৯/১৫/৭৯৭৯)
Tag:তারাবীহ