বিদ’আতের সংজ্ঞা ও প্রকার
প্রশ্ন : বিদ’আতের আভিধানিক অর্থ কী? শরীয়তের পরিভাষায় বিদ’আত কাকে বলে? বিদ’আত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : শরীয়তের পরিভাষায় বিদ’আত এমন সব নবাবিষ্কৃত কাজকে বলা হয়, যা দ্বীনের নামে ইবাদত মনে করে করা হয়, কিন্তু এর কোনো প্রমাণ স্পষ্ট বা অস্পষ্টভাবে কোরআন-হাদীসে বা শরীয়তের মূল সূত্রে পাওয়া যায় না। ইসলামের সোনালি যুগে অর্থাৎ সাহাবা, তাবেঈন, তাবে’তাবেঈনের যুগেও যার অস্তিত্ব ছিল না। এরূপ কাজ শরীয়তের দৃষ্টিতে বিদ’আত ও ভ্রান্ত কাজের অন্তর্ভুক্ত; যা সম্পূর্ণ বর্জন করার কথা স্পষ্টভাবে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। বাস্তবে এরূপ বিদ’আতের কোনো প্রকারভেদ হয় না। অবশ্য আভিধানিক অর্থ ‘নতুন আবিষ্কার’-এর বিবেচনায় উলামায়ে কেরাম বিদ’আতকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে থাকেন। এর মধ্যে যেসব নতুন আবিষ্কার দ্বারা দ্বীনের সহায়তা হয় তাকে ‘বিদ’আতে হাসানাহ নামে আখ্যায়িত করা হয়। আর যেগুলো সরাসরি দ্বীনের মধ্যে বর্ধন-কর্তন করে ইবাদত মনে করে করা হয় তাকে ‘বিদ’আতে সায়্যিআহ্’ বলে। এটিকে ‘বিদ’আতে শরইয়্যাহ্’ও বলা হয়। (৫/২৬৯/৯১৭)