ফতওয়া দেওয়ার হুকুম ও অস্বীকারকারীর বিধান
প্রশ্ন :
১. ফতওয়া দিয়ে টাকা গ্রহণ করা যাবে কি না?
২. ফতওয়া দেওয়া কি ফরয না ওয়াজিব? কোনো মুফতি সাহেবের কাছে ফতওয়া চাইলে জানা সত্ত্বেও যদি তিনি ফতওয়া না দেন তাহলে তিনি রাসূল (সা.)-এর হাদীসের ্রمن سئل عن علم علمه ثم كتمه ألجم يوم القيامة بلجام من نارগ্ধ আওতাভুক্ত হবেন কি না?
৩. ফতওয়া অস্বীকারকারীর বিধান কী?
উত্তর :
১. শরীয়তের দৃষ্টিকোণে মৌখিক ফতওয়া প্রদান করে ফতওয়া প্রদানের বিনিময় গ্রহণ করা নাজায়েয। তবে শুধুমাত্র ফতওয়া প্রদানের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখলে কিংবা লিখিত ফতওয়া প্রদান করলে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়েয হলেও না নেওয়াই উচিত। (১৭/৩৭৩/৭০৭৫)
الدر المختار مع الرد (سعید) ۶ /۹۲ : (يستحق القاضي الأجر على كتب الوثائق) والمحاضر، والسجلات (قدر ما يجوز لغيره كالمفتي) فإنه يستحق أجر المثل على كتابة الفتوى، لأن الواجب عليه الجواب باللسان دون الكتابة بالبنان، ومع هذا الكف أولى احترازا عن القيل والقال، وصيانة لماء الوجه عن الإبتذال ۔
২. যদি কোনো জনপদ আলেম-উলামা ও মুফতিশূন্য হয়ে পড়ে এবং সেখানে একজন যোগ্য মুফতিই বিদ্যমান থাকেন, এমতাবস্থায় তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের ফতওয়া প্রদান করা জরুরি। এমন ব্যক্তি ফতওয়া প্রদান না করলে প্রশ্নে উল্লিখিত হাদীসের আওতাভুক্ত হয়ে গোনাহগার হবে। পক্ষান্তরে যে এলাকা বা শহরে অসংখ্য আলেম-উলামা এবং মুফতিয়ানে কেরাম বিদ্যমান এবং সেখানে ফতওয়া বিভাগও রয়েছে এরূপ স্থানে ফতওয়া প্রদান করা জরুরি নয়। ইচ্ছা করলে মুফতি সাহেব ফতওয়া প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। সালাফে সালেহীন এবং ফকীহগণও অনুরূপ অবস্থায় কোনো কোনো সময় ফতওয়া প্রদান থেকে বিরত থেকেছেন।
مرقاة المفاتیح (انور بکڈپو) ۱ / ٤۸۱ – ٤۸۲ : قال السيد: هذا في العلم اللازم التعليم كاستعلام كافر عن الإسلام ” ما هو؟ “، أو حديث عهد به عن تعليم صلاة حضر وقتها، وكالمستفتي في الحلال والحرام، فإنه يلزم في هذه الأمور الجواب لا نوافل العلوم غير الضرورية، وقيل: العلم هنا علم الشهادة ۔