এই প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনসাধারণের আন্তরিক দু’আ ও তাদের স্বেচ্ছাপ্রদত্ত সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তবে তার পদ্ধতির ব্যাপারে নিম্নোক্ত দুজন বুজুর্গের স্মরণীয় বাণীই মূল পাথেয়।

হাকীমূল উম্মত হযরত মাও. আশরাফ আলী থানভী (রহ.)-এর বাণী :

  • দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজে অর্থের প্রয়োজন হলে মুসলিম সমাজকে সাধারণভাবে অবগত করাই যথেষ্ট, এতে কেউ স্বতঃস্ফূর্ত দান করলে সাদরে গ্রহণ করা হবে।
  • দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের জন্য সাধারণভাবে চাঁদা আহ্বানে কোনো আপত্তি নেই। তবে যেকোনো চাপ সৃষ্টিমূলক চাঁদা সংগ্রহ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা উচিত।

 

অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্নে পৃষ্ঠপোষক হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব হারদূয়ী (রহ.)-এর বাণী :

  • এই ধরনের দ্বীনি প্রতিষ্ঠান সচরাচর মুসলিম সমাজের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে এমনভাবে অর্থ চাওয়া উচিত নয়, যাতে মানুষ লজ্জা ও বিব্রতবোধ করে।
  • প্রতিষ্ঠানের চলমান অবস্থা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যাদিসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক অবগত করে চাঁদা ও অনুদানের কথা এমনভাবে বলা যেতে পারে যে কারো হাতে এর চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোনো দ্বীনি কর্মসূচি না থাকলে অত্র প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় অবশ্যই এগিয়ে আসবেন।

পূর্বোল্লিখিত বাণীসমূহ অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে চাঁদা সংগ্রহের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধি প্রেরণ করা হয় না। কোথাও কোনো ধরনের সাহায্যের আবেদনও করা হয় না।