পায়ে কোরআন শরীফ রেখে তেলাওয়াত করা
প্রশ্ন : জনৈক ইমাম সাহেব অন্য আরেকজন ইমাম সাহেবকে চারজানু হয়ে বসে পায়ের ওপর কোরআন শরীফ রেখে তেলাওয়াত করতে দেখে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বললেন, হুজুর, এভাবে পায়ের ওপর কোরআন রেখে তেলাওয়াত করা তো আদবের খেলাফ। প্রতি উত্তরে ওই ইমাম রাগান্বিত হয়ে বললেন, যে যে অবস্থার তার সাথে সে মর্যাদার কথা বলবেন। জবাবে ইমাম সাহেব বললেন, আপনি এভাবে কোরআন শরীফ পড়লে মুক্তাদিরা কী করবে? পুনরায় তিনি ওই কথাই বললেন। প্রশ্ন হলো, এভাবে পায়ের ওপর কোরআন শরীফ রেখে তেলাওয়াত করা বৈধ হবে কি না?
উত্তর : পবিত্র কোরআনের সম্মান ও আদব রক্ষা করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য একান্ত অপরিহার্য। কোরআন শরীফ পায়ের ওপর রেখে তেলাওয়াত করা এবং সাধারণ বই-পুস্তকের মতো ঝুলিয়ে চলাফেরা করা বেআদবীর শামিল। এরূপ করতে দেখে নম্রভাবে বোঝানোর কাজ যিনি করেছেন, তিনি ভালো কাজ করেছেন। এর জন্য তাঁর ওপর রাগ করা অন্যায় ও অপরাধ। (১০/৭৯৪/৩৩১০)
شعب الإيمان (دارالکتب العلمیة) ۲/ ۳۵۰ (۲۰۰٧) : عن عبيدة المليكي، وكانت له صحبة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” يا أهل القرآن، لا توسدوا القرآن واتلوه حق تلاوته آناء الليل والنهار وأفشوه، وتغنوه وتدبروا ما فيه لعلكم تفلحون، ولا تعجلوا تلاوته فإن له ثوابا “.
رد المحتار (ایچ ایم سعید) ٤ / ۶۶ : كل من ارتكب منكرا أو آذى مسلما بغير حق بقول أو فعل أو إشارة يلزمه التعزير.
صحیح مسلم (دارالغدالجدید) ۲/ ۲۱ (٤۹) : عن طارق بن شهاب – وهذا حديث أبي بكر – قال: أول من بدأ بالخطبة يوم العيد قبل الصلاة مروان. فقام إليه رجل، فقال: الصلاة قبل الخطبة، فقال: قد ترك ما هنالك، فقال أبو سعيد: أما هذا فقد قضى ما عليه سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ্রمن رأى منكم منكرا فليغيره بيده، فإن لم يستطع فبلسانه، فإن لم يستطع فبقلبه، وذلك أضعف الإيمانগ্ধ .