পর্দাহীনভাবে নারীদের শিক্ষাদান
প্রশ্ন : কোনো এক গ্রামের যুবতী বালেগা, বিবাহিতা নারীরা সকলে এসে এক বাড়িতে জমা হয়। আর সেখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা নামক এক সংস্থার পক্ষ থেকে এক মৌলভী এসে এই সকল মহিলাগণকে পর্দাহীনভাবে সরাসরি ও মুখোমুখি হয়ে তাদের পাঠদাননীতি অনুসারে পড়াচ্ছে। আমরা এভাবে পর্দাহীন হয়ে পড়ানো যাবে না বললে উক্ত মহিলারা বলে যে আমরা তো অন্য সময়েও পর্দা করি না, এখন পর্দা করে কী হবে। আর উক্ত মৌলভী বলে যে আমি এদেরকে আমার মা-বোন মনে করে পড়াই। আমার মনে এদের প্রতি কোনো খারাপ ধারণা জাগ্রত হয় না। অনুরূপভাবে আরো একজন এলাকারই স্বল্প শিক্ষিত এক হুজুর সকালে মসজিদে বালেগা বিবাহিত মহিলাদেরকে পড়ানো শুরু করেছে। এখন আমাদের জানার বিষয় হলো, এভাবে পর্দাহীন হয়ে বালেগা মহিলাদের পড়ানো শরীয়তে জায়েয কি না? এ ধরনের হুজুরের পেছনে নামায পড়া যাবে কি না? এলাকার লোকজন এদেরকে বাধা না দিলে তারা গোনাহগার হবে কি না?
উত্তর : পর্দা করা শরীয়তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরয বিধান। এই বিধানকে হীন মনে করা বা লঙ্ঘন করা মারাত্মক গোনাহের কাজ। সুতরাং মসজিদে বা কোনো বাড়িতে বেগানা পুরুষের জন্য পর্দাহীনভাবে বালেগা মহিলাদেরকে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার অনুমতি শরীয়তে নেই। বরং তা পরিহারকরত তাওবা করা অপরিহার্য। উল্লিখিত মাসআলা জানা সত্ত্বেও কেউ যদি উক্ত পদ্ধতিতে মহিলাদেরকে পড়ানোর কাজ থেকে বিরত না থাকে তাহলে সে ফাসেক। আর ফাসেকের পেছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমি তথা নাজায়েয। আর সমাজে শরীয়ত পরিপন্থী কোনো কাজকর্ম হতে দেখলে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বাধা না দিলে এলাকার মানুষ গোনাহগার হবে। (১৯/৩১/৭৯৬৩)