নিরুপায় হয়ে মেয়েদেরকে মহিলা মাদ্রাসায় পড়ানো
প্রশ্ন : বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় যে মহিলা মাদ্রাসা চালু হয়েছে, সেখানে মেয়েদের পড়ানো (অভিভাবক এমন যার শরীয়তের পুরা ইলম নেই বা স্বীয় মেয়েদের তরবিয়ত তার পক্ষে বিভিন্ন কারণে সম্ভব হচ্ছে না) শরীয়তে কতটুকু অনুমতি আছে? ফতওয়াটি বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর : মহিলাদের জন্য শরীয়তের পাবন্দী করে সাধ্যানুযায়ী দ্বীনের উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান অর্জন করাতে কোনো দোষ নেই। ইসলামের ইতিহাসে বড় বড় মুহাদ্দিসা ও মুফতিয়া মহিলার বহু নজির পাওয়া যায়। কিন্তু মহিলা মাদ্রাসার কোনো নজির পাওয়া যায় না। ইসলামের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কোনো দ্বীনদরদি অনুসরণযোগ্য ব্যক্তি মহিলা মাদ্রাসার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। আসলে এমন মহিলাদের একত্রিত বসবাসকে ইসলাম পছন্দ করে না, যারা পরস্পর আত্মীয় নন। মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়া মহা বিপদজনক, যতই কড়াকড়ি ও পাহারাদারি করা হোক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। যে কারণে সাহাবা (রা.) ও ফুকাহায়ে কেরাম মহিলাদের জন্য মসজিদের জামা’আতে শরীক হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছেন। আর রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে নামায পড়া থেকে ঘরে নামায পড়াকে উত্তম বলেছেন। তাই শরীয়তের দৃষ্টিতে মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও এসব মাদ্রাসায় মেয়েদের পড়ানো থেকে বিরত থাকাই ইসলামের সঠিক অনুসরণ বলে গণ্য। (৪/৭২/৫৮৮)