নামাযে রিংটোন বন্ধ করার নিয়ম
প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তি নামায শুরু করার পর তার পকেটে মোবাইল ফোন বেজে উঠল, আশপাশে সকলেরই নামাযের একাগ্রতা নষ্ট হলো। এমতাবস্থায় তার কী করণীয়? নামায অবস্থায় বন্ধ করবে, না নামায ছেড়ে দিয়ে বন্ধ করবে, নাকি বাজতে থাকবে? অনেক সময় মোবাইল প্যান্টের পকেটে থাকে, আবার জামার পকেটে থাকে, অনেক সময় এক টিপে বন্ধ হয় না, বারবার রিং দিতে থাকে তখন এক টিপে বন্ধ করলে আমলে কাসীর হবে কি না? এ ব্যাপারে দারুল উলূম দেওবন্দের মুফতীয়ানে কেরামের ঐকমত্য কী? এ ছাড়া বর্তমান বিশ্বের আহলে হক মোহাক্কেকীনদের কোনো ঐকমত্য থাকলে জানিয়ে বাধিত করবেন? ইমাম ও মুক্তাদীর মধ্যে যদি এ ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য থাকে তাও জানালে কৃতজ্ঞ হব।
বি: দ্র:. ইকামতের সময় ইমাম-মুয়াজ্জিনের মোবাইল ফোন বন্ধ করুন বলা কতখানি দায়িত্ব? দেখা গেছে, ইমামের নিয়্যাত বাধার পরও অনেক মুসল্লি আসে, যার ফলে এলানের পরও মোবাইল বাজে এমতাবস্থায় করণীয় কী?
উত্তর : মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই মোবাইল বন্ধ করে নেওয়া উচিত। তা সত্তে¡ও ভুলে বন্ধ না করলে নামাযে রিং বাজার সাথে সাথে এক টিপ দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেবে, এতে নামায নষ্ট হবে না। ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের ব্যাপারে একই হুকুম। যদি কারো আমলে কাসীরের মাধ্যমে মোবাইল বন্ধ করতে হয় তাহলে অন্যের নামাযে ব্যাঘাত ঘটার ক্ষেত্রে নামায ছেড়ে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করার অবকাশ আছে। উল্লেখ্য যে নামাযের পূর্বে ইমাম-মুয়াজ্জিনের মোবাইল বন্ধ করুন বলা তাঁদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত না হলেও বলাটা আপত্তিকর নয়। (১৩/৭২৬/৫৪০০)
Tag:রিংটোন বন্ধ