নামাযরত মুসল্লির পাশে কোরআন তেলাওয়াত ও মুসল্লিদের পেছনে বসে তেলাওয়াতের বিধান
প্রশ্ন : এক জামে মসজিদে জুমু’আর নামাযের সময় অনেক লোক একত্রিত হয় এবং সবাই কিবলামুখী হয়ে কাতার বেঁধে বসে কোরআন শরীফ বা পারা হাতে নিয়ে হালকা-উচ্চ আওয়াজে খুতবার পূর্ব পর্যন্ত সূরায়ে কাহ্ফ তেলাওয়াত করতে থাকে, যদ্বারা দ্বিতীয় কাতারের কোরআন শরীফ প্রথম কাতারের পেছনে পড়ে যায়, তদ্রƒপ পেছনের কাতারগুলোর একই অবস্থা এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেও এরূপ অবস্থা সৃষ্টি হয়। ‘কিফায়াতুল মুফতী’ ৯ নং খণ্ড ৬০ পৃষ্ঠায় উক্ত পদ্ধতিতে তেলাওয়াত করাকে কোরআন শরীফের সাথে বেয়াদবীর শামিল বলে উল্লেখ রয়েছে। এমতাবস্থায় কিছু মুসল্লি সুন্নাত ও নফল নামায পড়ে থাকেন। তাঁদের মধ্য থেকে অনেকে অভিযোগ করেছেন যে উক্ত তেলাওয়াত দ্বারা তাঁদের নামাযের ক্ষতি হয়। প্রশ্ন হলো, উক্ত অবস্থায় এ পদ্ধতিতে তেলাওয়াত করা শরীয়তসম্মত কি না?
বি:দ্র:. মসজিদ কমিটি তেলাওয়াতকারীদেরকে চুপে চুপে তেলাওয়াত করতে অনুরোধ করলেও দু-এক দিন পর তা আর থাকে না।
উত্তর : কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজীলতপূর্ণ ইবাদত। এককভাবে হোক বা সম্মিলিতভাবে হোক, নিম্নস্বরে হোক বা উচ্চস্বরে যেকোনো পন্থায় তেলাওয়াত করার অনুমতি রয়েছে। তবে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করার দ্বারা যদি নামাযি ও ঘুমন্ত ব্যক্তিদের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত না করে নিম্নস্বরে তেলাওয়াত করা উচিত। তাই প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে অন্যদের ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটিয়ে তেলাওয়াত করা অনুচিত এবং আশপাশে জায়গা থাকা সত্ত্বেও মসজিদে একজনের পেছনে আরেকজন কালামে পাকের তেলাওয়াত করা আদবের খেলাফ হওয়ায় অনুচিত। আর যদি আশপাশে জায়গা না থাকে তাহলে প্রয়োজনে তেলাওয়াত করতে পারবে। (১৬/২৫৩/৬৪৪৫)
রদ্দুল মুহতার : 1/660, আল মাদখাল : 2/281, খাইরুল ফাতাওয়া : 1/248