নাবালেগ ছেলে দ্বারা ওয়াজ করানোর হুকুম
প্রশ্ন : সুন্দর কণ্ঠস্বর ও আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গির অধিকারী ১০-১২ বছর বয়সের বালক দ্বারা ওয়াজ করানোর শরয়ী বিধান কী? এলাকায় এ ধরনের একটি বালকের ওয়াজের বৈধতা নিয়ে আলেম সমাজে দুই ধরনের মত দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে ওই বালকটি আলেম নয় এবং সে কোরআন শরীফও পড়েনি। ক্যাসেট বা কারো থেকে শিখে ওয়াজ করে থাকে। প্রশ্ন হলো, ওয়াজকারীর কেমন যোগ্যতা থাকতে হবে এবং ওয়াজ করার জন্য উক্ত নাবালেগ শিশুকে দাওয়াত দেওয়া এবং তার ওয়াজ শোনা জায়েয হবে কি না? দলিলসহ জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর : ওয়াজ দ্বীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলাহী কাজ, রং-তামাশা নয়। অযোগ্য ব্যক্তির হাতে ইসলাহের কাজ সোপর্দ করা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণী মতে কিয়ামতের নিদর্শন। ওয়ায়েজ আলেম, জ্ঞানী, দ্বীনদার, মুত্তাকী ইত্যাদি গুণে গুণান্বিত হওয়া আবশ্যক। তাই নাবালক বা পেশাদার ওয়ায়েজ থেকে বিরত থাকা জরুরি। (১৮/৯১৮/৭৯৩৩)
Tag:ওয়াজ