তাফসীর করার অধিকার কার
প্রশ্ন : জনৈক ইমাম সাহেবের তাফসীর করার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি তাফসীর করার অধিকার রাখেন না। কারণ তিনি তাফসীর বিভাগে পড়েননি। উল্লেখ্য যে ইমাম সাহেব হাফেজ মাওলানা ১৯৯৯ ইং সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া থেকে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেছেন। অতএব মহোদয়ের সমীপে সবিনয় আবেদন এই যে এ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদেরকে বিস্তারিত জানিয়ে চির বাধিত করবেন।
উত্তর : বর্তমানে কোরআনের তাফসীর বলতে যা বোঝানো হয়, তা আসলে তাফসীর নয়। বরং তাফসীরকারকদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণকে নিজের ভাষায় অন্যকে বুঝিয়ে দেওয়া মাত্র। এ-জাতীয় তাফসীরও যে কেউ চাইলেই করতে পারে না। শুধু বাংলা অনুবাদ পড়ে তাফসীর করার অধিকার শরীয়ত কাউকে দেয়নি। তবে যে ব্যক্তি তাফসীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব বিষয়াদির ওপর জ্ঞান রাখে এবং অভিজ্ঞ উলামাদের নিকট হতে আদব, বালাগাত, উসূলে তাফসীর ও হাদীস ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা করে কোরআনের মূল ভাষার ওপর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, সে তাফসীর করার অধিকার রাখে বলা যাবে। মূলত লক্ষণীয় হলো, তাফসীরে কোনো বিষয়ে ভুল করছে কি না, তাই প্রশ্নে বর্ণিত ইমাম সাহেব তাফসীর বিভাগে পড়াশোনা না করলেও যেহেতু দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে তাফসীর করার যোগ্যতা সৃষ্টিকারী জরুরি বিষয়াবলি রয়েছে, তাই এ পাঠ্যসূচি সমাপ্তকারী কোনো যোগ্য আলেমকে তাফসীর করতে বাধা দেওয়া বা আপত্তি করা ঠিক হবে না। (৯/৫১৩/২৭০২)
আহসানুল ফাতাওয়া : 1/502