তরীকত-মা’রেফতের পরিচয় ও তিন তাসবীহের আমল
প্রশ্ন : আপনার উত্তরপত্রে জানতে পারলাম, তরীকত তথা আত্মশুদ্ধি অর্জন প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য জরুরি। হুজুর! এখন আমার জানার বিষয় তরীকত কী? বা কিভাবে কোন তরীকত নিলে ভালো হবে। কোনো একক ব্যক্তি হতে পাগড়ি ধরে বা অন্য কোনো উপায়ে? আশা করি, সহজভাবে বুঝিয়ে দেবেন। জানতে পারলাম, শুধু শরীয়ত দিয়ে কাজ হবে না, মা’রেফাতও হাসিল করতে হবে, শরীয়ত খালি ঘরের সমতুল্য। হুজুর! মা’রেফত কী? তা কিভাবে হাসিল করা যাবে? তাবলীগের মুরব্বিগণ যে সকল কথা, কাজ ও সকাল-বিকেল তিন তাসবীহ আদায় করতে বলেন, একে কি একটি সঠিক ও নির্ভুল তরীকা বলা যায়?
উত্তর : শরীয়তের পরিপূর্ণ অনুসারী কোনো হক্কানী পীর সাহেবের হাতে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার অঙ্গীকার করে আত্মশুদ্ধির জন্য তাঁর দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমল করার নাম বাইআত বা তরীকত, যা সুন্নাত। তবে আত্মশুদ্ধি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরি। আর মা’রেফত শরীয়ত থেকে ভিন্ন কোনো জিনিস নয়, বরং শরীয়তেরই মগজ, যা শরীয়তের বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক সমস্ত বিধিবিধান পালনের দ্বারা অর্জন হয়। তাবলীগের মুরব্বিগণ যে সমস্ত কথা বলেন এবং যে সমস্ত কাজ করেন, তা যদি শরীয়ত মোতাবেক হয় তাহলে সঠিক, আর সকাল-বিকেল তিন তাসবীহের আমল সঠিক ও নির্ভুল আমল।
বিঃ দ্রঃ. ‘ফাজায়েলে তাবলীগ’ নামক গ্রন্থে তাবলীগের সাথীদেরকে আত্মশুদ্ধির জন্য হক্কানী পীর-মাশায়েখদের সাথে ইসলাহী সম্পর্ক স্থাপনে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। (১২/৬৪৮/৪০৫৬)
Tag:তরীকত-মা’রেফতের