খতমে খাজেগান
প্রশ্ন : বর্তমান প্রচলিত খতমে খাজেগান, যা বিভিন্ন মাদ্রাসায় নিয়মিত পড়া হয়। কোনো কোনো উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে এ উক্তি করেছেন যে উক্ত আমলগুলো কোনো কোনো সুফিয়ায়ে কেরামের আমল এবং তাদের রেওয়াজকৃত আর মানুষের রেওয়াজকৃত কোনো জিনিস দ্বীন হতে পারে না। যদি তাকে দ্বীন মনে করে করা হয় তাহলে তা নিঃসন্দেহে ভ্রষ্টতা।
ক. প্রশ্ন হলো, বর্তমানে প্রচলিত খতমে খাজেগানের ব্যাপারে কোরআন ও হাদীসের প্রমাণাদি রয়েছে কি না? বা মুজতাহিদীনে কেরাম এবং তাবেঈনের কোনো আমল রয়েছে কি না?
খ. ওই সমস্ত উলামায়ে কেরামের কথাটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য?
উত্তর : খতমে খাজেগান মূলত দরূদ শরীফ, লা-হাওলা ও সূরায়ে আলাম নাশ্রাহ পাঠ করার নামমাত্র, যা কোরআন-সুন্নাহর অংশ হওয়ার মধ্যে কোনো মুসলমানের সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। তবে এগুলোকে বিশেষ সময়ে একসাথে এক নিয়মে পাঠ করা নিয়ে শুধু প্রশ্ন জাগতে পারে। কোরআন ও হাদীসের সূরা ও বাক্যকে বিশেষ নিয়মে পাঠ করা, যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) থেকে প্রমাণিত নেই। তা দ্বীন ও রাসূূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাত মনে করে পালন করাই হবে বিদ’আত। কিন্তু যদি এ বিশেষ নিয়ম কোনো উলামা ও বুজুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতার আলোকে কোনো উদ্দেশ্য পূরণে উপকারী বলে সাব্যস্ত হয় বা অজিফাস্বরূপ কাউকে পালন করতে বলে যেমনিভাবে আমাদের দেশে বুখারী খতম ও খতমে ইউনুসের প্রচলন রয়েছে, তাহলে এগুলো দ্বীন ও সুন্নাত হিসেবে নয় বরং বিভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণে সহায়ক হিসেবে গণ্য হবে। সুতরাং তা অবৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে এ আমল যেখানে চলে তা কোনো উদ্দেশ্যের সফলতা ও এর উপকারিতার কারণেই চলে থাকে বিধায় এটাকে অবৈধ বা প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো অবকাশ নেই। (১৪/১৪২/৫৫২৩)