কিরাত, তাসবীহ দ্রæত আদায় করা মাকরূহ
প্রশ্ন : ইমাম সাহেব সূরা তারাবীহতে এক নিঃশ্বাসে সূরা ফাতেহা পড়েন এবং অন্য নিঃশ্বাসে অন্য একটি সূরা পাঠ করার পর এত দ্রæত রুকু-সিজদা করেন যে রুক-সিজদার তাসবীহ তিনবার পাঠ করা কোনো মুক্তাদীর পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। অন্যদিকে শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ, দরূদ শরীফ ও দু’আ মা’সূরা পড়া শেষ হওয়ার পূর্বেই ইমাম সাহেব সালাম ফিরিয়ে দেন। এমন নামায শুদ্ধ হবে কি?
উত্তর : তাড়াহুড়া করে নামায পড়া মাকরূহ, ইমামের কর্তব্য হলো মুক্তাদীদের প্রতি লক্ষ রাখা, ধীরে সুস্থে কিরাত পড়া এবং রুকু-সিজদায় এ পরিমাণ দেরি করা, যাতে মুক্তাদীগণ কমপক্ষে তিনবার রুকু-সিজদার তাসবীহ পাঠ করতে পারে।
আর শেষ বৈঠকে মুক্তাদীগণ তাশাহ্হুদ পড়ার পর ইমাম সাহেব সালাম ফিরালে ইমামের সাথে মুক্তাদীগণও সালাম ফিরিয়ে নেবে। তাদের দরূদ শরীফ ও দু’আ মা’সূরা পড়া শেষ হোক বা না হোক। আর যদি মুক্তাদীগণের তাশাহ্হুদ শেষ হওয়ার পূর্বেই ইমাম সাহেব সালাম ফিরিয়ে নেন, তাহলে মুক্তাদীগণ তাশাহ্হুদ শেষ করে সালাম ফিরাবে। তবে সর্বাবস্থায়ই নামায আদায় হয়ে যাবে। (১০/৮২১/৩৩৩৩)
Tag:কিরাত