কত ডিগ্রি জ্বর হলে তায়াম্মুম বৈধ
প্রশ্ন : (ক) জ্বর কত ডিগ্রি হলে তায়াম্মুম করা যাবে, এটা শরীয়তের নির্দেশ না অনুমতি?
(খ) জ্বর না থাকলেও পানি ব্যবহারে অসুস্থতার কারণে জ্বর আসাটা প্রায় নিশ্চিত, এমতাবস্থায় সে ওজু করে নামায পড়বে, না পরবর্তীতে জ্বর আসার আশঙ্কায় তায়াম্মুম করবে?
(গ) বর্তমানে জ্বর থাকলেও একটু পরে জ্বরের ওষুধ সেবন করলে কিংবা এমনিতেই সেরে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, এমতাবস্থায় সে ওয়াক্ত চলে যাওয়ার কিংবা জ্বর চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে পরে ওজু করে নামায পড়বে, নাকি এখনই তায়াম্মুম করে জামাআতে শরীক হবে? জামাআতে বর্তমান অবস্থায় না দাঁড়ালেই বা হুকুম কী?
উত্তর : (ক) তায়াম্মুমের বৈধতার বিষয়টি ডিগ্রিনির্ভর নয়। পানি ব্যবহারে রোগের মারাত্মক রূপ ধারণ বা দীর্ঘায়িত হওয়ার অথবা ক্ষতিকারক রোগ সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা হলে ওই অবস্থায় তায়াম্মুম করে নামায পড়ার অনুমতি আছে।
(খ) অবস্থার পরিবর্তনের দ্বারা হুকুমের পরিবর্তন হয়ে যায়। তায়াম্মুমের বৈধতা কিংবা ব্যবহারের জন্য নিছক ধারণা যথেষ্ট নয় বরং পূর্ব অভিজ্ঞতা বা অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের মত যাচাই জরুরি।
(গ) রোগ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও জামাআত ছেড়ে দেওয়া অথবা মাকরূহ ওয়াক্ত পর্যন্ত বিলম্ব করে নামায পড়া অনুচিত। বরং মূল ওয়াক্তের ভেতরেই তায়াম্মুম করে নামায আদায় করে নিতে হবে। এমতাবস্থায় নামায কাযা হয়ে গেলে মারাত্মক গোনাহ হবে। (৮/১৮১/২০৪৯)
Tag:তায়াম্মুম