ঈমানে মুফাস্সাল-সংশয় ও নিরসন
প্রশ্ন : “ঈমানে মুফাস্সাল” কালেমায় সাতটি বিষয়ের ওপর ঈমান আনার কথা বলা হয়েছে তন্মধ্যে :
(ক) ওই কালেমায় উল্লিখিতالیوم الآخر এবং والبعث بعد الموت এর প্রকৃত অর্থ কী? অর্থাৎ এগুলো দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে। উভয়টির অর্থ এক ও অভিন্ন, নাকি ভিন্ন ভিন্ন? অভিন্ন হলে পৃথকভাবে উল্লেখ করার কারণ কী?
(খ) এ কালেমায় উল্লিখিতخیرہ وشرہ من اللہ تعالی والقدر এখানে তাক্বদীর দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
২. প্রচলিত ৬টি কালেমা (কালেমা তাইয়িবাহ, শাহাদাত, তামজীদ, তাওহীদ, ঈমানে মুজমাল, ঈমানে মুফাস্সাল) কি হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত হয়েছে?
এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা সহকারে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
উত্তর : ১. (ক) ঈমানে মুফাস্সাল কালেমায় উল্লিখিতالیوم الآخر এবংالبعث بعد الموت এ দুটি বাক্যের অর্থ এক নয়। প্রথম বাক্যের অর্থ হলো কিয়ামত বা হাশরের দিবস আর দ্বিতীয় বাক্যের অর্থ হলো কিয়ামতের দিনে পুনরুত্থান।
(খ) সমুদয় সৃষ্টির ভালো-মন্দ, উপকার-অপকার ইত্যাদি যাবতীয় সব কিছুর স্থান-কাল এবং এসবের শুভ-অশুভের পরিমাণ ও পরিণাম পূর্ব হতে নির্ধারিত।
আল্লাহ তা’আলা সব কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে সৃষ্টিজগতের একটি নকশা ও পরিকল্পনা লিখে রেখেছেন। এই নকশা ও পরিকল্পনাকেই বলা হয় তাক্বদীর। এই পরিকল্পনা ও নকশা অনুসারেই সব কিছু সংঘটিত হয় এবং হবে।
অতএব ভালো-মন্দÑসব কিছুই আল্লাহর তরফ থেকে পূর্বেই নির্ধারিত এবং সেই নির্ধারণ বা তাক্বদীর অনুযায়ী সব কিছু সংঘটিত হয়, এই বিশ্বাস রাখতে হবে।
২. আমরা কালেমা তাইয়িবাহ, শাহাদাত, তাওহীদ, তামজীদ, ঈমানে মুফাস্সাল বলতে যে কালেমাগুলো পড়ে থাকি, সেগুলো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকেই বর্ণিত ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত। (১৫/৩৭৩/৬০০৩)