ইবাদতের গ্রহণযোগ্যতা দাওয়াতনির্ভর নয়
প্রশ্ন : বর্তমানে আমাদের সমাজে তাবলীগ জামাতের প্রচার-প্রচারণা বেশ জোরেশোরে চলছে। যার ফলে কোরআনের ফজীলতকে ছাড়িয়ে গিয়েছে তাবলীগের ফজীলত। উদাহরণস্বরূপ তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা বলেন, কালেমা, নামায, রোজা, হজ, যাকাত কোনো কাজে আসবে না দ্বীনের দাওয়াত না দিলে। তাঁদের আরেকটা ফতওয়া হলো, লাইলাতুল কদরের ই’তেকাফের ফজীলত দ্বীনের দাওয়াত দিলেই পাওয়া যায়। উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই মাননীয় মুফতী সাহেবের নিকট কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিষয়গুলোর বিশেষ ব্যাখ্যাদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
উত্তর : দ্বীনের দিকে মানুষকে আহ্বান করা ইসলামের একটি মহৎ কাজ, বরং ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আল্লাহ পাক আম্বিয়ায়ে কেরামকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্যই প্রেরণ করেছেন। এ কাজের অসংখ্য ফজীলত কোরআন-হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। তবে প্রচলিত তাবলীগ দাওয়াতের একটি উত্তম পন্থা হলেও তাবলীগ বা দাওয়াত তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং মাদ্রাসা শিক্ষা, ইমামত, মোয়াজ্জেনি, সাধারণ ওয়াজ-নসীহত, দ্বীনি পুস্তক লেখা ইত্যাদি দাওয়াতেরই অংশ। তবে এই ধরনের কথা বলা যে “দাওয়াত না দিলে কালেমা, নামায, রোজাÑকিছুই কাজে আসবে না” সঠিক নয়, বরং মারাত্মক ভুল। অনুরূপভাবে লাইলাতুল কদরের ই’তেকাফের ফজীলত দ্বীনের দাওয়াত দিলেই পাওয়া যায়, কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। বরং হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, আল্লাহর রাস্তায় কিছু সময় ব্যয় করলে শবে কদরে হাজরে আসওয়াদের সামনে ইবাদত করার ফজীলত পাওয়া যায়।
বি:দ্র:. এ ধরনের ভুল কথার জন্য তাবলীগ জামাত দায়ী নয়। বরং তাবলীগের লেভেলে কিছু অজ্ঞ লোকেরাই দায়ী। (১২/৯৯৮/৫১২৮)
Tag:দাওয়াত