আয়াতুল কুরসী মশক করলেও পড়ার সাওয়াব পাবে, শুনলে নয়
প্রশ্ন :
১. ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়ার ফজীলত কী? কোনো ইমাম সাহেব যদি ফজর ও মাগরিবের পরে মুসল্লিদেরকে উক্ত সূরা মশক করায়, তাহলে কি সকলেই মশক করার সাওয়াব এবং পড়ার ফজীলত ভিন্ন ভিন্নভাবে পাবে, নাকি শুধু মশক করার সাওয়াব পাবে?
২. যদি শুধু ইমাম সাহেব পড়েন (নামাযের পরে) আর মুক্তাদীগণ শ্রবণ করেন তাহলে কি সকলেই আয়াতুল কুরসী পড়ার পূর্ণ ফজীলত পাবে?
উত্তর : ১. হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়ার ফজীলত শুধুমাত্র ফজর ও মাগরিবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এ ফজীলত প্রত্যেক ফরয নামাযের সাথে সম্পৃক্ত। হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পাঠ করে, তার জন্য বেহেশতে প্রবেশের ক্ষেত্রে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনো অন্তরায় থাকে না, অর্থাৎ মৃত্যুর সাথে সাথেই সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।” ইমাম সাহেবের সাথে মশক করা পড়ারই নামান্তর। এতে ইমাম ও মুসল্লি উভয়ই পড়া ও মশক করার ফজীলত পাবে। (১০/৯২৩)
২. যদি কেবলমাত্র ইমাম সাহেব পড়েন মুক্তাদীগণ শ্রবণ করে তাহলে ইমাম সাহেব পড়ার ফজীলত পাবেন, অন্যরা শোনার ফজীলত পাবে।
শুআবুল ঈমান : 2/458, মুসনাদে আহমদ : 14/189