আলাপচারিতার সময় কোরআনের শব্দের অশুদ্ধ উচ্চারণ
প্রশ্ন : কোরআনে উল্লিখিত এমন কিছু শব্দ আছে, যেগুলোর উচ্চারণ তেলাওয়াতের সময় শতভাগ শুদ্ধভাবে করা হলেও সাধারণ আলাপচারিতার সময় সেগুলোর উচ্চারণে বিভিন্ন ধরনের ভুল পরিলক্ষিত হয়। যেমনÑ যেখানে হরকত নেই সেখানে হরকতের উচ্চারণ করা হয়, মদের জায়গায় মদ করা হয় না, আবার যেখানে নেই, সেখানে করা হয়। কখনো দেখা যায় শব্দের কোনো একটি অক্ষরই উচ্চারণ হয় না। উদাহরণস্বরূপ الله কে ألّا, কালিমাকে কলমা, رحمة-কে رھمة উচ্চারণ করা হয়। আবার বাংলায় কোনো কোনো শব্দের উচ্চারণ লেখার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন লক্ষণীয়। যেমনÑ নাবীকে নবী, মাসজিদকে মসজিদ, হাজ্জকে হজ, মাদীনাহকে মদীনা লেখা হয়। প্রশ্ন হলো, তেলাওয়াত ছাড়া অন্য সময় কোরআনে ব্যবহৃত শব্দে এভাবে বিকৃতি করলে গোনাহ হবে কি?
উত্তর : আরবী ভাষায় শব্দ বা বাক্য উচ্চারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি দিক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১. শব্দের উচ্চারণ যথাযথ হওয়া, ২. বাক্যের ক্ষেত্রে ব্যাকরণ অনুযায়ী উচ্চারণ করা, ৩. তাজবীদ ও তারতীলের সাথে পাঠ করা। এই দিকগুলোর মধ্য থেকে তাজবীদ বা তারতীলের সাথে পাঠ করা একমাত্র আল্লাহ পাকের কালামের বৈশিষ্ট্য, যা আল্লাহ পাকের কালাম পাঠ করার ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয়, অন্য ক্ষেত্রে নয়। কোরআনের অন্য ক্ষেত্রে তাজবীদ-তারতীলের লেহাজ করা হলে বৈশিষ্ট্য বাকি থাকে না। তাই তেলাওয়াত ছাড়া সাধারণ কথাবার্তা, ওয়াজ-নসীহত করার সময় তাজবীদের সাথে উচ্চারণ করার বিধান নেই। তবে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে শব্দের বিশুদ্ধ উচ্চারণ ও ব্যাকরণের দিক খেয়াল করে উচ্চারণ করাটাই উত্তম। (১৫/৪৪৬/৬০৬৯)
সুরা মুজাম্মিল : 4, আল মুকাদ্দমাতুল জাযিরিয়াহ : 1/11, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া : 1/102,