অ্যাজমা রোগীর জন্য তায়াম্মুম
প্রশ্ন : আমি ৩-৪ বছর ধরে অ্যাজমা/হাঁপানি রোগে ভুগছি। আমার এ রোগটা শীতকালে, অর্থাৎ ঠাণ্ডা লাগলে বেড়ে যায়। ছোটবেলা থেকে ওজু-গোসল ও পায়খানা-প্রস্রাবে আমার কিছুটা বেশি পানি ব্যবহার করার অভ্যাস হয়ে গেছে। আমি লক্ষ করেছি, এই রোগটা দেখা দিলে বিশেষ করে শীতকালে বারবার গরম পানি দিয়ে ওজু করলেও বেশি পানি খরচ করার কারণে আমার এই রোগটা বেড়ে যায়। সে সময় ওজুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করলে আমার এই রোগের প্রকোপ কিছুটা কম থাকে। এ কারণে চলতি বছর শীতকালে একাধারে প্রায় দুই মাস আমি জোহর ছাড়া বাকি চার ওয়াক্ত নামায তায়াম্মুম করে আদায় করেছি এবং শুধু জোহর নামাযটা ওজু করে আদায় করেছি। এর ফলে রোগের প্রকোপ কিছুটা কমেছিল বলে আমার মনে হয়। এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করে পড়া আমার উক্ত দুই মাসের নামায শুদ্ধ হয়েছিল কি না? এ ছাড়া উল্লিখিত কারণে শীতকাল ছাড়াও অন্যান্য সময় ওজুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করে নামায পড়লে নামায শুদ্ধ হবে কি না?
উত্তর : ওজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য একবার করে প্রতিটি অঙ্গকে ন্যূনতম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট। তাই ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য গরম পানি দিয়ে প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সাথে সাথে তা মুছে ফেললে রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে না। বাস্তবে যদি তা সম্ভব হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে তায়াম্মুম করার অনুমতি নেই। আর এমতাবস্থায় তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত অতীতের নামাযগুলোও পুনরায় পড়তে হবে। পক্ষান্তরে উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা সত্ত্বেও যদি অভিজ্ঞ ডাক্তারের মত অনুযায়ী বাস্তবে রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে তাহলে ওজুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করার অনুমতি থাকবে। এ ক্ষেত্রে তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত নামায পুনরায় পড়ার প্রয়োজন হবে না। (১০/৬০৬/৩২৭৬)
Tag:তায়াম্মুম