অশিক্ষিতা নারীরা কি মহিলা মাদ্রাসায় পড়তে পারবে?
প্রশ্ন : অনেক মহিলারা নামায-রোযা সম্পর্কে কিছুই জানে না। নামায-রোযা হায়েয-নেফাসের কোনো মাসআলাই জানে না। তারা পর্দা করে না এবং তাদের পরিবারে মাসআলা-মাসায়েল জানে, এমন কোনো লোকও নেই। এমতাবস্থায় তাদের জন্য বর্তমান প্রচলিত মহিলা মাদ্রাসায় পড়া জায়েয হবে কি? যদি নাজায়েয হয় তাহলে তারা কী করবে? দেখা যাচ্ছে, অনেক মহিলাকে এনজিও সংস্থার লোকেরা উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। পক্ষান্তরে ওই সমস্ত মহিলা থেকেই অনেকে মহিলা মাদ্রাসায় পড়ার কারণে পর্দা করে ভালোভাবে চলাফেরা করে ও ইসলামকে ভালোবাসে। তাই আশা করি, উল্লিখিত সমস্যার সঠিক সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর : মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করা অত্যাবশ্যকীয়। প্রয়োজনীয় দ্বীনি শিক্ষা ছোটবেলায় মক্তবে পড়ে নেওয়াই মহিলাদের জন্য বাঞ্ছনীয়। বড় হলে নিজ মাহরাম বা স্বামীর তত্ত্বাবধানেই প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করবে। তবে যেসব মহিলার অভিভাবক অজ্ঞ, ওই সব মহিলাকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করার পূর্বে পুরুষ অভিভাবকগণকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করা একান্ত অপরিহার্য। এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের ছেড়ে মহিলাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার চিন্তাধারা বোকামি ছাড়া আর কী হতে পারে? যেসব পরিবারে পুরুষ বদদ্বীন, ওই সব পরিবারে মহিলাদের এনজিওরা পথভ্রষ্ট করতে পারে, কিন্তু যেসব পরিবারে পুরুষ দ্বীনদার, ওই সব পরিবারে এনজিওরা আসতেও পারে না। তাই প্রথমে পুরুষদেরকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত ও আদর্শবান করে তুলুন। অন্যথায় এনজিওদের বিষফল মহিলা শিক্ষা বন্ধ করা যাবে না।
সুতরাং প্রচলিত মহিলা মাদ্রাসা যেখানে মহিলাদের জন্য থাকা-খাওয়াও হোস্টেল পদ্ধতির ব্যবস্থা রয়েছে, তা শরীয়তসম্মত নয়। মাহরাম ব্যতীত মহিলাদের অন্যত্র রাত্রি যাপন শরীয়ত সমর্থিত নয়। তাই বর্তমান প্রচলিত মহিলা মাদ্রাসাকে শরীয়তসম্মত বলা যায় না। (১২/৬৯৪/৫০২৪)